আজ সোমবার, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জিমখানা সড়কে বছরে সোয়া কোটি টাকা চাঁদাবাজি

জিমখানা সড়কে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিএনজি স্ট্যান্ডের নামে ইজিবাইকের অবৈধ অটো স্ট্যান্ড বসিয়ে প্রতিদিন জিমখানা থেকে কাশিপুর দেওয়ান বাড়ী, খিলমার্কেট, হাটখোলা, ফকিরবাড়ী ও মুন্সিগঞ্জের কাটপট্টি, দিঘিরচর, মুক্তারপুর মোট সাতটি রোডে অনুমোদনহীন ইজিবাইক চলাচল পরিচালনা করে আসছে শহরের জিমখানায় অবৈধ অটো স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজরা। তারা বছরে চাঁদা আদায় করে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। প্রশাসনের নাকের ডগায় মাশোয়ারার মাধ্যমে চলছে বেপোরয়া চাঁদাবাজি। নিয়ন্ত্রণহীন এ চাঁদাবাজির ফলে সাধারন যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

গতকাল সরেজমিনে জিমখানা থেকে কাশিপুর রোডের ইজিবাইক চালক আলামিন জানায়, আমি চার বছর যাবত জিমখানা থেকে কাশিপুর দেওয়ান লাইনে চলাচল করি প্রতিদিন জিমখানায় রানাকে ১৪০ টাকা চাঁদা দেই তারা ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে চাঁদা নেয় কিন্তু তাদের কোন টেন্ডার নাই। অনুসন্ধানের জানা গেছে, ২টি সড়কে ২৫০ টি গাড়ি প্রতিদিন চলাচল করে। প্রতিটি গাড়ি থেকে ১৪০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়ে থাকে। চাঁদাবাজরা দৈনিক ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে থাকে। মাসে এ চাঁদা পরিমান দাঁড়ায় ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা বছর শেষে হয়ে যায় ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

চাঁদা আদায়কারি রানার পরিচয় জানতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আফসানা আফরোজা বিভা বলেন, এই রানা আমার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) রানা নয়। সে কাশিপুর সম্্রাট হল এলাকার রানা আর আমিতো জানতাম এই স্ট্যান্ড টেন্ডার হয়েছিল ।

অপরদিকে জিমখানা থেকে মুন্সিগঞ্জের কাটপট্টি, দিঘিরচর, মুক্তারপুর রোডে চলাচলকারী ইজি বাইক চালক বিল্লাল হোসেন জানায়, ১২০ টাকা চাঁদা দিতে হয় জিমখানায় চাদা না দিলে গাড়ী চালাতে দেয় না বরং মারধর করে। আর চাদা নেয় লাইনম্যান বাবু।

জিমখানা থেকে হাটখোলা লাইনম্যান মো. বাবু জানায়, হাটখোলা থেকে ৪০টি, দিঘিরচর থেকে ৩৫টি, মুক্তারপুর থেকে ৩০টি, কাটপট্টি থেকে ৩৫টি অবৈধ ইজিবাইক চলাচল করে। এ সকল ইজিবাইকের জন্য জিমখানায় অবৈধ স্ট্যান্ড পরিচালনা করে সেই জোড়া খুনের আসামী বিএনপি নেতা হাসানের লোক জিমখানার খোরশেদ, শাকিল।

জিমখানা থেকে মুন্সিগঞ্জ অটোরিক্সার লাইন পরিচালনাকারী কাশিপুর জোড়া খুনের আসামী ও সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র আফসানা আফরোজা বিভার স্বামী হাসান আহমেদের কর্মী খোরশেদ মুটোফোনে জানায়, এই অটোস্ট্যান্ড ও সিএসজিস্ট্যান্ডের লাইনম্যান জানে কয়টি ইজিবাইক চলে। কত টাকা চাঁদা নেয়। আমি কিছুই জানি না।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ